[ আসালামুআলাইকুম ]
হ্যাকিং বিদ্যা সম্পর্কে কিছু সত্য কথা যেগুলি আপনাকে একজন আদর্শ হ্যাকার হতে অনুপ্রাণিত করবে এবং প্রচুর মানুষ আমাকে এই প্রশ্নগুলো করেছে তাই সবগুলো মিলিয়ে একটা পোস্ট করে ফেললাম।একজন প্রকৃত হ্যাকার কিন্তু কখনোই মুখে নিজেকে হ্যাকার দাবী করেনা বরং মুখোশের আড়ালেই অ্যানোনিমাস হয়েই হাসতে জানে, টেকনোলজিতে দক্ষ হওয়া এক কথা আর হ্যাকিং আরেক কথা!
হ্যাকার কে ?
হ্যাকার মাত্র ৩ অক্ষরের শব্দ হলেও গভীরতা আকাশ ছোয়া।হ্যাকিং যারা করে তারাই হ্যাকার।আর হ্যাকিং কোনো বইয়ের পড়া না যে ২ মাস পড়লাম আর হ্যাকার হয়ে গেলাম।হ্যাকিং হচ্ছে সাধনা,বছরের পর বছর চেষ্টা করতে থাকার ফল।
মূলত হ্যাকার একজন দুটি হাত-দুটি পা-দুটি চোখের সমন্বয়ে গঠিত আপনার আমার মতোই সাধারন মানুষ তবে পার্থক্যটা হলো “মাথা”তে।এদের মস্তিস্ক সাধারণ মানুষের থেকে একটু বেশিই ভাবে।কারণ সাধারণ মানুষ শুধু নিজের পার্স্পেক্টিভ থেকেই দেখে কিন্তু এদের একাধিক মানুষের পার্স্পেক্টিভ থেকে দেখতে হয়।
আপনার আমি যখন “সমস্যা” দেখলে চুল ছিড়তে ইচ্ছে করে তখন একজন হ্যাকার চুলের নিচে থাকার মাথার নিউরনে নিউরনে নতুন সমাধান খুঁজতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।
এই বিবেচনাতে আমাদের সবারই হ্যাকার হওয়া উচিত!
ধরুন , আপনাকে আমি আমার এনড্রোয়েড মোবাইল ৫ মিনিটের জন্য দিলাম এবং তা হতে তথ্য সংগ্রহ করে রাখতে বললাম তাহলে আপনি কি করবেন?
খুব বড়জোর আমার মেসেজ/ফেসবুক/কন্টাক্ট ডিটেইলস/মেমরীকার্ডের ফাইল ঘাটাঘাটি করবেন তাইনা?
অথচ , একজন হ্যাকার ঐ সময়ে আমার মোবাইলের IMEI Number, MAC address ইত্যাদি সেন্সিটিভ বিষয়গুলা টুকে রাখতো এবং আমার এনড্রোয়েড এমন হিডেন প্যাকেজ ইনস্টল করার চেষ্টা করতো যা হতে পরবর্তীতে আমার এনড্রোয়েডের রিমোটিক এক্সেস নিতে সক্ষম হয়(একটা উদাহরন দিলাম আরকি)।
মনে রাখবেন “হ্যাকার সে যার আপনার আমার চিন্তার বাইরে এক ধাপ এগিয়ে চিন্তা করার সক্ষমতা আছে”
হ্যাকার এর সবচেয়ে মূল্যবান অস্ত্র কি ?
হয়তো অনেকেই মনে করেন হ্যাকারের কাছে বুঝি হ্যাকিং করার ইয়া মস্ত মস্ত টুলস কিংবা সফটওয়ার থাকে, কথাটা আংশিক সত্য হলেও শতভাগ সত্য নয় কেননা “শুধুমাত্র সফটওয়ার কখনোই স্বয়ংক্রিয়ভাবে স্বতঃস্ফূর্ত নিজে নিজে কোন সিস্টেমে হ্যাকিং প্রসেস জেনারেট করতে পারে না” বরং হ্যাকিং সম্পন্ন করার জন্য চাই লীড। আর পৃথিবীর সবচেয়ে বড় লীড হলো সোস্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং!
আপনি কথাতে যতো পাকা হবেন আর মানুষকে যতো কাছে টানতে পারবেন ততোই আপনার সোস্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং করার দক্ষতা বাড়বে।
ধরুন,
আপনি বড় কিছু করতে পারবেন আপনার বিশ্বাস কিন্তু অপর একজন আপনাকে এটা নিয়ে Demotivate করছে এবং বলছে তুই পারবি নাহ। তখনকার জন্য Social Engineering-এর একটা simple tips আপনাদের দেই।
এর প্রতি উত্তরে, আপনি তার মাথায় একটা pressure create করতে পারেন। মানে, যদি সে বলে ,"তুই তোর চ্যানেলে ২K subscriber-ও কমপ্লিট করতে পারবি নাহ!" তখন আপনি বলতে পারেন, "আমি যদি ২০০K কমপ্লিট করে দেখাই তাহলে তুই কি করবি?" তখন কিন্তু সে একটু হলেও ভয় পেয়ে যাবে অর ভাববে নাহ আপনি যেহেতু এতো জোর গলায় বলছেন যদি পেরে যান। এরকমভাবে অনেক অবাস্তব কাজও কাওকে সহজেই বিশ্বাস করানো যায়। উপরেরটা জাস্ট একটা example দিলাম। Tips-টা অনেক ছোটো হলেও যাদের মাঝে Social Sngineering-এর প্রতিভা আছে, তারা কিন্তু চাইলেই এই simple tips দিয়ে হাজার রকমের কাজ করিয়ে নিতে পারে। একটু ভাবলেই বুঝতে পারবেন। বুদ্ধিমানের ইশারাই কাফি! তাই, বুঝলে বুঝপাতা, না বুঝলে ব্যাঙের ছাতা...
Sometimes simple things are more complicated than complex! But complex can help you to add a new direction which simple can't...
এমন অনেকেই আছেন যারা চোখের পলকে আপনাকে হিপ্নোটাইজ করে আপনার মুখ হতেই আপনার সমস্ত ডিটেইলস কিংবা ব্যাংকিং ইনফরমেশন হাতিয়ে নিতে পারে ওরা সাইবার জগতে নয় সাইকোলজিতে হ্যাকার!
এমন হ্যাকিং শেখার জন্য প্রোগামিং নয় বরং মেডিটেশন আর মনুষ্য সাইকোলজি বিষয়ে চাই গভীর জ্ঞান লাভ এবং অনুশীলন।
উদাহরনস্বরূপ , আপনি যদি কোন মেয়েকে ইমপ্রেস করতে চান তাহলে তার ঠোটের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসলে নিশ্চিত তাহার মুখেও হাসি আসবে( আপনি কি জানেন হাসি-হাচি-হাই এই তিনটা ছোয়াছে জিনিস যাতে মানুষ অজান্তেই নির্লিপ্ত হয়)।
এখন হাসিমুখে তাকে একটা কথা বললে তিনি চাইলেও আর বিরক্ত হতে পারবেনা (অন্তত বিরক্তি প্রকাশ করতে পারবেন না) তাই বিষয়টা খুবই ইমপ্রেসিভ।
একইসাথে হ্যান্ডশেব করা/কাধে হাত রেখে কথা বলা/হাত নাড়িয়ে কথা বলা/ভ্রু কুচকানো ইত্যাদির মাঝেও আলাদা এক প্রকার মাইন্ড ডাইভার্টিং তথা মনকে স্বাভাবিকতার বাইরে নিজের প্রতি বশ করার ব্যাপার স্যাপার লুকিয়ে থাকে!
সুতরাং হ্যাকার হতে হলে আগে আপনাকে হ্যামেলিনের বাঁশিওশালা হতে হবে!
অনেকে Hacking এবং Cracking এর মধ্যে পার্থক্য কি বুঝেন না।
ধরেন আপনি একটা বাড়িতে চুরি করতে গেলেন
এখন আপনি যদি সেই বাড়ির দরজার তালা Duplicate চাবি দিয়ে খুলে সেই বাড়ির ঘরে ঢুকেন , সেইটা হলো Cracking
আপনি যদি সেই বাড়ির দরজার তালা আপনার দক্ষতা দিয়ে কোনো চাবি ছাড়া তালা খুলে সেই বাড়ির ঘরে ঢুকেন, সেইটা হলো Hacking
হ্যাকার কি ভালো মানুষ নাকি ভিলেন ?
ভালো খারাপ সব জায়গা তেই থাকে,তাই বলে ফুল কমিউনিটি তো খারাপ না।আর শখ করে কেও ব্ল্যাক হ্যাট করেনা।তার পেছনা কোনো না কোন কারণ লুকিয়ে থাকে যেগুলার জন্যও এই সমাজ দ্বায়ী।
সত্যকথা বলতে পৃথিবী জুড়ে জাগতিক এলিট হ্যাকারেরা যেমন খারাপ না তেমনি সকল হ্যাকারও দুধে ধোওয়া তুলসী পাতা নয় বরং বেশীরভাগ হ্যাকারই নৈতিকভাবে খারাপ কাজে জড়িয়ে পড়েন( সেটা হতে পারে স্বভাবে কিংবা অভাবে) বিশেষত বাংলাদেশে বিষয়টা সত্যিই বেশ প্রকটতর সমস্যা বটে!
দেখুন “পেটে যখন ভাত না থাকে তখন মাথার জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে টাকা ইনকাম করা অন্তত হাতে খাটুনী করে উপার্জন করাই তো সহজসাধ্য” এই বিষয়টাই তাদের খারাপ কাজে প্রলুব্ধ করে তবে শেষের সত্যটা হলো “ক্রাইম কখনো চাপা থাকে না তাই সাইবার জগতে যতোই ভিপিএন কিংবা মাস্ক পড়ে এনোনিমাস হওয়ার চেষ্টা করেন না কেন আপনার অপরাধ আপনার ছায়ার মতোই আপনাকে শাস্তির দরজাই পৌছে দিবে”।
অতএব “সফল হ্যাকার হওয়ার আগে আপনাকে মানসিক দিক থেকে উদার এবং একইসাথে ইথিক্যাল মাইন্ডের হতে হবে”!
পারলে তাদের মেনে নেন।তারা এই সমাজের মানুষ,তারা কোনো এলিয়েন না।
তাদের জন্যই আপনি কম্পিউটার টা চালাইতে পারতেছেন।কারণ টাকা দিয়া উইন্ডোজ কোনো বাঙালি কিনবে না ।
আমি কি হ্যাকার হতে পারবো ?
এটা একদম অমূলক একটা প্রশ্ন কেননা সবার ভেতরেই কমবেশি হ্যাকিং যোগ্যতা দিয়েই স্রষ্টা আমাদের সৃষ্টি করেছেন কেননা জ্ঞান হলো শিক্ষা আর “বুদ্ধি” হলো হ্যাকিং তাই হ্যাকার হতে হলে আপনাকেই চেষ্টা করতে হবে।
হয়তো আপনার কাছে পিসি নেই কিন্তু এনড্রোয়েড তো আছে?
এনড্রোয়েড না থাকলে জাভা/সিম্বিয়ান মোবাইল তো আছে?
তাহলে শেখার শুরুটা সেখান হতেই আরম্ভ করুন। আপনি Google এ গিয়ে “How to Learn Hacking” লিখে সার্চ করুন তার পড়তে থাকুন-জানতে থাকুন-শিখতে থাকুন তাহলে দেখবেন অজান্তেই কোন একদিন আপনি অনেক অনেক কিছু শিখে গিয়েছেন। কেননা হ্যাকিং বিদ্যাতে কেন সার্টিফিকেট হয়না বরং মনের মাঝেই আলদা এক প্রকার স্যাটিসফেকশন আসে!
এছাড়াও নিয়মিত টেকনোলজি রিলেটিভ বাংলা-ইংলিশ টিক্স টিপস ফলোআপ করুন এবং সময় বুঝে তা এপ্লাই করে প্যাকটিস করুন (তাইবলে কারো ক্ষতি করে বসবেন না যেন)।
আবার , আপনি যদি সাইবার স্পেসের বীরসেনা হতে চান তবে একটু ধৈর্য্য খানিকটা প্রচেষ্টা নিয়ে লেগে পড়ুন প্রোগামিং শিখতে , প্রথম প্রথম HTML/CSS/JAVA ইত্যাদি হয়তো আবোল তাবোল মনে হতে পারে কিন্তু সময়ের সাথেই সেসকল কোডিং আপনাকে হ্যাকিং ক্যাডার বানিয়ে তুলবে!
আমি কি হ্যাকিং কোর্স করবো ?
দেখুন সব শিক্ষার শুরুতেই টিচার লাগে কিন্তু বাংলাদেশে বেশীরভাগ টিচারই চিটার/ মিথ্যাবাদি( হ্যাকিং বিষয়ে) সুতরাং , পারসোনালি আমি উপদেশ দিবো এসব এড়িয়ে চলুন এবং এদের দিকে মুখ বাকিয়ে একখানা লম্বা সালাম দিয়ে ইগনোর করুন- এটাই ওদের মোক্ষম প্রাপ্তি!
মূলত যারা হ্যাকিং শেখানোর টাকা নিয়ে মুখ লুকায় তারাও কিন্তু হ্যাকার কেননা তাদের কথার ঝাঝে আপনাকে বিমুগ্ধ করার মতোন যোগ্যতা আছে (সাইকোলজিতে সোস্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং) আর আপনি তাতেও অবাক বুদ্ধ (সাইবার স্পেসে ভিক্টিম)।
সুতরাং , হ্যাকিং করতে কোর্স নয় বরং ইন্টারনেটেই কিভাবে নিজে নিজে করা যায় সেটা ট্রাই করুন।
আপনার জন্য শ্রেষ্ঠ শিক্ষক হতে পারে Google এবং Youtube এবং বন্ধু হতে পারে Wikipedia এবং Quara!
হ্যাকিং শিখলে কপালে কি ভাত জুটবে/আছে ?
সত্য বলতে , যদিওবা বাংলাদেশে আইসিটি খাতে গলা বাজি করে উন্নতির নিদর্শন চোখে আঙ্গুল তুলে দেখানোর চেষ্টা করছে তবুও বাংলাদেশ এখনো সেই অবস্থাতে পৌছায়নি যেখানে রাস্ট্র নিজস্ব অর্থায়নে হ্যাকার পুষবে এবং হ্যাকারেরা সরকারী চাকুরী করবে তথাপি প্রাইভেট অর্গানাইজেশনে সাইবার সিকিউরিটি স্পেশালিষ্টের মাইনে খুব একটা কম নয়!
সুতরাং , মেইন কথা “ হ্যাকিং টাকে পেশা নয় নেশা হিসেবে নেওয়ায় শ্রেয়।”
তাতে শুধুমাত্র মাথার মেরিট শান দেওয়ায় নয় বরং লাইফটাই শাইন হতে পারে!
আমাকে হ্যাকিং শেখাবেন ভাইয়া ?
মূলত এই কমন প্রশ্নটা বিরক্তিকর কেননা একটা প্রশ্ন যদি ৫ বার শুনতে মজা লাগে তবে ৫০বার এর বেলাতে নিশ্চিত বিব্রতকর শোনাবে সুতরাং হ্যাকিং শেখার জন্য কারো পিছে না ঘুরে বরং নিজে নিজে শেখার চেষ্টা করুন। কিভাবে করবেন সেটা আপনার ব্যাপার।
কেননা সফলতার পারফেক্ট সংজ্ঞা হয়না আর সফলতার কোন নির্দিষ্ট নিয়ম-কানুন নেই।
সুতরাং , যেখানেই শিক্ষা পাবেন তা টোকাই এর মতোন টুকে নিন তাহলেই আপনি একদিন জ্ঞান রাজ্যের রাজা হতে পারবেন।
হ্যাকিং শেখার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগে ?
(১) প্রচেষ্টা
(২) ধৈর্য্য
(৩)সময়
(৪) ইচ্ছাশক্তি
(৫)মেধা
(৬)উদার মানসিকতা
(৭) নৈতিকতা
বস্তুত একজন হ্যাকার মাপকাঠি তার স্কিল নয় বরং তার মেরিট; কেননা হ্যাকিং কোন ধরা বাঁধা বিদ্যা নয়। হ্যাকিং শিখতে এমন নয় যে দামী কম্পিউটার থাকতে হবে আবার নয়তো কঠিন কালি লিনাক্স জানতে হবে; হ্যাকিং বিদ্যা পুরোটাই আপনার ইচ্ছাশক্তি, ধৈর্য্য আর মন-মানসিকতার ওপর(অবশ্য স্বীকার্য যে একজন হ্যাকারের পথচলা শুরু হয় প্রোগামিং এর পায়ে পায়ে)।
একজন হ্যাকার এর সবচেয়ে বড় গুণ হলো তিনি রাগতে জানেন না; আমি আবারো বলছি "একজন হ্যাকার কখনোই মাথা গরম করে রেগে যান না বরং ঠান্ডা মাথায় শত্রুকে ঠাসিয়ে থাপ্পড় মারেন"!
আচ্ছা খুউব সহজ একটা উদাহরন দিয়েই হ্যাকিং শেখাই কেমন(এইটা কিন্তু স্রেফ একটা উদাহরন তাই সিরিয়াস হওয়ার কিচ্ছু নাই).
আজকে আমার ওয়েবসাইটের সঙ্গে অন্য ওয়েবসাইটের নিরব যুদ্ধ চলে।
তো একজন হ্যাকার হলে আপনি কি করতেন?
নিশ্চয়ই আপনি আবোল তাবোল গালাগাল করতেন না বরং মুখোশোর আড়ালেই শেষ হাসিটা হাসতেন!
আপনি কি আমার শত্রুর ওয়েব সাইটটি হ্যাকিং এর কথা ভাবছেন? আরে ওদের ডোমেইন আর হোস্টিং এর জন্য যদি ১০০০ টাকা খরচ করে (কথার কথা) তবে ১ রাত না ঘুমিয়ে হ্যাকিং করলেই কি আপনি জিতে যাবেন?! আজকের দিনে ১০০০ টাকা কোন ব্যাপার না, ওরা আবার নতুন করে ডোমেইন আর হোস্টিং কিনে নতুন নামে শুরু করবে তারা, তাতে সন্দেহ নাই!
তাহলে উপায়?
একজন হ্যাকারের মেরিট এখানেই মুচকি হাসে:-)
আপনারা হয়তো ডস/ডিডস এট্যাকের কথা শুনবেন যেখানে একটি ওয়েবসাইটে অতি অল্প সময়ে এতোবেশী ডাটা প্যাকেট-প্যাজেক পাঠানো হয় যেখানে ওয়েবসাইট সেই ডাটার সাথে পাল্লা দিয়ে সামঞ্জস্য রাখতে না পেরে অক্কা দেয়(এটি সাময়িক হতে পারে আবার পুরোই পটল তুলতে পারে তা ওয়েবসাইটের কন্ডিশনের ওপর নির্ভর করে) মোদ্দাকথা ওয়েবসাইটটি পুরো ডাউন হয়ে যায়।
এখন ঐ সার্ভার ডাউন রিকোভারী করতে গেলে অন্তত ৩/৪ ঘন্টা সময় তো লাগবেই আর ঐ সময়েই ওয়েবসাইটের ভিজিটর কমে তার Rank হারাবো আর পাবলিকের মনে ঐ ওয়েবসাইটের আস্থা হারাবে(দুই দিনের বৈরাগী হলে কাউকেই কেউ কোলে তুলে আদর করে না)। ডস/ডিডস এট্যাক করতে কি লাগে জানেন? স্রেফ ঐ ওয়েবসাইটের IP এড্রেস জানলেই তাতে চালানো যায় এই ভয়ানক হামলা তাতে আপনার পুরানো উইন্ডোজ পিসি কিংবা হাতের এনড্রোয়েড হলেও হ্যাকিং চালাতে বাধা নেই(পিসির জন্য.exe ফরম্যাটে LOIC সফটওয়ার আর এনড্রোয়েড জন্য Loic.apk কিংবা ডাটা প্যাকেট জেনারেটর হলেই হয় তাতে পর্যাপ্ত ইন্টারনেট থাকলেই কাফি খুলুস)!
আবার একটা ওয়েবসাইটের মূল ইনকাম হলো এডভারটাইজমেন্ট এক্ষেত্রে গুগল এডসেন্স হতে মারহাবা; তবে ঐ ফেইক ক্লিক করে তাহার গুহল এডসেন্স বাতিল করিয়ে দিলে কেমন হয়?
আর সোস্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর মতোন শয়তানী করে ঐ ওয়েবসাইটে স্পামিং কিংবা ভিন্ন সাইটে ঐ ওয়েবসাইট পচানোর পর তাহার কতোই না করুন পরিণতি হয়?!
আমার শেষকথা :— “ আপনি অন্ধকার রুমে একাকী একটা মোমবাতির মতোন জ্বলতে জ্বলতে শেষ হওয়ার আগে সেই আলোতে অন্যকে আলোকিত করুন ”। কথাটার অর্থ হলো আপনার মেধাকে অবহেলা আর অবজ্ঞার ছলে অবহেলা করে সময় নষ্ট না করে তাকে বুদ্ধিবৃত্তিতে খাটান।
তাহলে শুধু সাইবার স্পেসে নয় বরং আপনির রিয়েল লাইফটাই বদলে যাবে আর হ্যাকিং কম্পিউটারের ক্যাবলে নয় বরং হ্যাকিং থাকে ক্রিয়েটিভ মাইন্ডে!
সুতরাং আজকের জন্য এতটুকুই। কোন ভুল হলে ক্ষমা করে দিবেন শুভকামনা সবার জন্য।
আল্লাহ হাফেজ